পেয়ারা ভিটামিনযুক্ত একটি মজাদার ফল যা কিনা আপনাকে সব দিক থেকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে। পেয়ারা একটি ভিটামিন-সি আর ময়েশ্চারসমৃদ্ধ ফল। এর উচ্চমাত্রার ভিটামিন-এ ও ‘সি’ থাকায় হার্ট, ত্বক, চুল ও চোখের পুষ্টি জোগায়, ঠান্ডাজনিত অসুখ দূর করে থাকে। পেয়ারার ১৫ টি অসাধারন উপকারিতা সম্পর্কে নীচে তালিকা দেওয়া হল।
পেয়ারার ১৫ টি অসাধারন উপকারিতাঃ
১। ভিটামিন এঃ
পেয়ারাতে ভিটামিন এ আছে আর যার কারণে এটি খেলে এটি আমাদের দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। তাছাড়া এটি খেলে চোখের ছানি হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটা কমে যায়।
২। ভিটামিন সিঃ
আর ভিটামিন সি শরীরের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি করে শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। তাছাড়া যে কোন ইনফেকশন থেকে পেয়ারা শরীরকে সুস্থ রাখে।
৩। মস্তিষ্কের জন্য উপকারীঃ
“পেয়ারা ভিটামিন বি৩ (B3) এবং ভিটামিন বি ৬ (B6) ধারণ করে, এছাড়াও এটি যথাক্রমে নিয়াসিন এবং পাইরিডক্সিন হিসাবে পরিচিত, যা মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালন উন্নতিতে সাহায্য”।
—-ডাঃ মনোজ কে আহুজা মন্তব্য।
৪। হার্ট সুস্থতায়ঃ
পেয়ারা শরীরের সোডিয়াম এবং পটাশিয়াম ভারসাম্য উন্নত করে, যার ফলে উচ্চ রক্তচাপ রোগীদের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণকরে। পেয়ারা অর্ধবৃত্ত ট্রাইগ্লিসারাইডসের মাত্রা এবং খারাপ কোলেস্টেরল (এলডিএল) নিয়ন্ত্রণকরে যার ফলে হৃদরোগের উন্নয়নে অবদানরাখে।
৫। ত্বক সুস্থু রাখেঃ
ত্বককে ক্ষতিকর আল্ট্রাভায়োলেট রশ্মি থেকে রক্ষা করে। ত্বক, চুল ও দাঁতের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে। পুষ্টির বিচারে পেয়ারা হোক সবার নিত্যসঙ্গী।
৬। ওজন কমায়ঃ
যাদের ওজন অতিরিক্ত হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে তারা পেয়ারা খেতে পারেন৷ পেয়ারা খেলে শরীরের অতিরিক্ত ওজন খুব সহজেই ঝড়ানো যেতে পারে৷
৭। চুল ভালো রাখেঃ
পেয়ারায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ও খনিজ যা চুলের স্বাস্থ্য রক্ষা করে ও চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। পেয়ারা নতুন চুল গজাতেও সাহায্য করে।
৮। কফ দূরীকরণেঃ
পেয়ারাতে আছে প্রচুর ভিটামিন সি এবং সাথে আয়রন যার কারণে এটি কফ দূরীকরণে অনেক বড় ভূমিকা পালন করে। কারো যদি কফ জমে যায় গলায় তাহলে সেক্ষেত্রে পেয়ারা খুব ভাল ওষুধ।
৯। ক্যান্সার হওয়ার ঝুকি কমায়ঃ
লাইকোপেন(Lycopene), কোয়ারকেটিন(Quercetin), ভিটামিন সি এবং আরো কিছু পলিফেনল আছে যা কিনা শক্তিশালী এন্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে আর এই এন্টি-অক্সিডেন্ট ক্যান্সার হওয়ার ঝুকি কমায়। বিশেষ করে প্রোস্টেট ক্যান্সার কমাতে অনেক সাহায্য করে পেয়ারা। আর সেই সাথে পেয়ারা খেলে মেয়েদের ব্রেস্ট ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে।
১০। কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যার সমাধানঃ
পেয়ারা একটি ফাইবার জাতীয় ফল আর তাই এটি খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয় আর তাই কারো ঠিকমত পায়খানা না হলে পেয়ারা খেয়েই করতে পারেন আপনার সমস্যার সমাধান।
১১। ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুকি কমায়ঃ
পেয়ারাতে ফাইবার এবং কম গ্লাইসেমিক ইনডেক্স থাকার কারণে এটি খেলে রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকে আর তাই ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুকি কিছুটা কম থাকে।
১২। গর্ভবতী মায়ের জন্যঃ
পেয়ারাতে আছে ফলিক এসিড আর ফলিক এসিড একজন গর্ভবতী মায়ের জন্য খুবই প্রয়োজন।সব গর্ভবতীদেরই ডাক্তাররা ফলিক এসিড দিয়ে থাকেন কারণ এটি বাচচার নার্ভাস সিস্টেমকে উন্নত করে। আর সেই সাথে এটি বাচচাদের নিউরোলোজিক ডিজঅর্ডার থেকে দুরে রাখে।
১৩। দাত ব্যথার জন্যঃ
পেয়ারার পাতায় আছে এন্টি-ইনফ্লামেটরি গুণ এবং খুব শক্তিশালি এন্টিব্যাক্টেরিয়াল ক্ষমতা আছে যা কিনা ইনফেকশনের সাথে যুদ্ধ করে এবং জীবানূ ধবংস করে। আর তাই পেয়ারার পাতা দাত ব্যথার জন্য খুব ভাল একটি ওষুধ,যা কিনা আপনি ঘরে বসেই দূর করতে পারবেন।
১৪। দৃষ্টিশক্তি উন্নত করেঃ
পেয়ারাতে ভিটামিন ‘এ’ থাকার কারণে, ভাল দৃষ্টিশক্তি জন্য সহায়তাকারী হিসাবে পরিচিত। এটা শুধুমাত্র, দৃষ্টিশক্তি অবনতি রোধ করতে এমনকি দৃষ্টিশক্তি উন্নত করতে এবং ছানি পড়া থেকেও রক্ষা করে।
১৫। মুখের ভেতর সাদা দাগ দূর করতেঃ
অনেকেরই মুখের ভেতর সাদা দাগের মত একটি আলসার দেখা যায় আর এটি হয়ে থাকে ভিটামিন সি এর অভাবে, তাই পেয়ারা খেলে এটি হওয়া অনেকটা কমে যায়।
সূত্রঃ ndtv.com