রোজ খাওয়া কমিয়ে, হেঁটে কিংবা ব্যায়াম করেও মেদ/ ভুঁড়ি কমাতে পারচ্ছেন না। পেট আর তলপেটে বসা মেদ/চর্বির এই পাহাড়কে কমিয়ে আনতে অনেকেই অস্থির হয়ে যায়। খোঁজেন চিকিৎসার পথ বা ভার্চুয়াল পন্থা। তবে খুব সহজেই মেদ/ভুঁড়িকে ত্যাগ করতে পারেন জাদুকরী পানীয় নিজেই তৈরি করে। বিশেষ একটি পানীয় প্রতিদিন মাত্র এক গ্লাস পান করলেই দেখবেন মেদ খুব চমৎকারভাবে বিদায় নিয়েছে এবং আপনি আগে থেকে স্মার্ট এবং সেক্সি দেখাচ্ছে।

আমাদের প্রতিদিনের খাদ্য তালিকার খাদ্যে যে পরিমাণ রাসায়নিক উপাদান থাকে এবং এর সাথে থাকে বেহিসেবি জীবনযাত্রা তা যে কারও শরীর খারাপের জন্য যথেষ্ট। দুইয়ে মিলে শরীরের মেটাবলিজমের হার অনেক মাত্রায় কমে যায়। ফলে শরীরে দেখা দেয় অবাঞ্ছিত মেদ/ভুঁড়ি। আর এই মেদ/ভুঁড়ি থেকে মুক্তি পেতে দরকার মাত্র এক গ্লাস বিশেষ পানীয় যা আপনি নিজেই তৈরি করতে পারেন।

প্রতি রাতে ঘুমানোর আগে এই পানীয় পান করলে মেদ/ভুঁড়ি কমবেই সহজে। এমনকি নিয়ন্ত্রণে থাকবে ডায়াবেটিস, হাইপারটেনশন এবং হৃদযন্ত্রও ভালো থাকবে।
দ্রুত মেদ কমাতে জাদুকরী পানীয় নিজেই তৈরি করুন এবং মেদ কমান
এই পানীয় বানাতে যা লাগবেঃ-
১। বাতাবি লেবু অর্ধেক
২। একটি শশা
৩। আদাবাটা ১ চা চামচ
৪। পার্সলে পাতা ১ গোছা
৫। পানি ২ গ্লাস

যেভাবে প্রস্তুত করবেনঃ
সব উপকরণ একসাথে ব্লেন্ডারে দিয়ে ব্লেন্ড করে নিন ব্লেন্ড হয়ে গেলে পেস্ট করা রসটুকু গ্লাসে ঢালুন। প্রতিরাতে ঘুমানোর আগে এই রস একগ্লাস পান করুন। আর কদিনের মধ্যেই পরিবর্তন লক্ষ্য করুন।

পার্সলে পাতা আসলে কি?
পার্সলে হলো ‘মৌরি’ বা মিষ্টি সজ বা গোয়ামুরি। আমাদের দেশে শীতকাল ছাড়া দুটোর (ধনেপাতা আর পার্সলে পাতা দেখতে প্রায় একই রকম) কোনোটাই চাষ করা হয় না বললেই চলে, তাই বছরের অন্যান্য সময় এগুলো তেমন পাওয়া যায় না। তবে, শীতকালীন দেশগুলোতে এগুলো মোটামুটি সারা বছরই সহজলভ্য। তাই সেইসব দেশে পার্সলে পাতা শুকনো (ড্রায়েড) অবস্থায়ও সারা বছর পাওয়া যায়। ধনেপাতার চেয়ে পার্সলে পাতার ফ্লেভার অনেক বেশি স্ট্রং। তাই, অনেকে পার্সলে পাতা বেশি ব্যবহার করে।
সংগ্রহঃ অনলাইন মিডিয়া।