পনের বছরের এই কিশোরী মেয়েটি মারা যায় প্রায় পাঁচশত বছর আগে। কিন্তু কিশোরীর চেহারায় যে শান্তির ছাপ তা দেখে মনে হয় যেকোন সময় সে আবার জেগে উঠবে। পাঁচশত বছর আগে মারা যাওয়া পেরুর বিস্ময়কর ইনকা সম্প্রদায়ে এই পনের বছর বয়সী বালিকা ‘ল্য দোঞ্চেলা’ কে আবিষ্কার করেন একজন আর্জেন্টাইন-পেরুভিয়ান অভিযাত্রী।
‘ল্য দোঞ্চেলা’ নামের এই বালিকার মমিটি ১৯৯৯ সালে বিস্ময়কর মাচুপিচু নগরীর লুলাইকো আগ্নেয়গিরির ৬,৭৩৯ মিটার(২২,১১০ ফুট) উঁচুতে তিনি আবিষ্কার করেন এই কিশোরীর মমিটি।
বিজ্ঞানী ও গবেষকরা বলেন, তার অক্ষত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ দেখে মনে হচ্ছে তাকে ঔষধ বা নেশা জাতীয় দ্রব্য খাইয়ে হত্যা করা হয়েছে। তবে, তাঁর চুল পরীক্ষা করে মৃত্যুর সময় নির্ণয় করেছেন গবেষকরা।
ইতিহাসবিদরা বলছেন, ইনকারা শিশু-কিশোরদেরকে সৃষ্টিকর্তাদের উদ্দেশে বলি দেওয়ার রেওয়াজ ছিল। তারপর তারা মারা যাওয়া শিশুদেরকে স্রষ্টার সম্মানে মমি করে রাখতেন।
তাদের পাওয়া আরো তথ্য মতে, সৃষ্টিকর্তার উদ্দেশে বলি দেওয়া এই শিশুদেরকে হত্যার আগে সুষম খাবার খাইয়ে মোটা-তাজা করা হতো এবং সমাধিস্থলে পৌঁছানোর আগে শিশুদের ভীষণ ভীতি ও ব্যথা নাশক উন্মাদক পানীয় পান করানো হতো, তারপর তাদের হত্যা করা হতো এবং মমি করে রাখা হতো।
ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের ভিডিওটি দেখুন।
সংগ্রহ আনলাইন মিডিয়া।